থিমফরেস্ট সাইটের জন্য টেম্পলেট তৈরি

কয়েক মাস পূর্বে থিমফরেস্ট (www.themeforest.net) ওয়েবসাইট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। এরপর অনেক পাঠক ইমেইলের মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন, কিভাবে থিমফরেস্টে একটি ওয়েবসাইটের টেম্পলেট জমা দিতে হয়। একজন পাঠক জানিয়েছেন তিনি সাইটটিতে একটি টেম্পলেট জমা দিয়েছিলেন কিন্তু থিমফরেস্ট কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রকৃতপক্ষে আমি আমার টিমের দুইজন ডিজাইনারদের দিয়ে একটি টেম্পলেট তৈরি করেছিলাম, কিন্তু থিমফরেস্ট কর্তৃপক্ষ টেম্পলেটটি তাদের সাইটের উপযুক্ত নয় বলে ফিরিয়ে দেয়। ডিজাইনটিকে আমরা আরেকটু উন্নত করে জমা দিলাম, কিন্তু তারা সেটিকেও প্রত্যাখ্যান করে এবং ডিজাইনটিতে কি কি সমস্যা রয়েছে তা জানায়। এইভাবে অন্তত ৪ বার ফিরিয়ে দেবার পর ৫ম বারের সময় ডিজাইনটি তারা গ্রহণ করেছে। ডিজাইনটি দেখতে www.tinyurl.com/business-place লিংকে ভিজিট করুন। আমার এই অভিজ্ঞতার আলোকে এবারের প্রতিবেদনটি সাজিয়েছি।

প্রথমে একটু জেনে নেই, ইন্টারনেটে এত এত ওয়েবসাইট থাকতে কেন আপনি থিমফরেস্টে ওয়েবসাইটের টেম্পলেট বা ডিজাইন বিক্রি করবেন?

  • প্রথমত, থিমফরেস্ট খুব জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। সাইটে প্রায় দুই হাজার উন্নতমানের টেম্পলেট এবং প্রায় তিন লক্ষ ব্যবহারকারী রয়েছে। টেম্পলেটগুলোর মূল্যও অত্যন্ত অল্প, মাত্র ৫ থেকে ১৫ ডলার মধ্যে আকর্ষণীয় টেম্পলেট কিনতে পাওয়া যায়, যা একজন ক্রেতাকে সহজেই আকৃষ্ট করে। অন্যদিকে টেম্পলেট কেনার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট “টেম্পলেট মনস্টার্স” (www.templatemonsters.com) এ টেম্পলেটগুলোর গড় মূল্য হচ্ছে ৬০ ডলার।
  • দ্বিতীয়ত, এখানে একজন ডিজাইনারকে তার টেম্পলেটের মূল্যের ৪০% থেকে ৭০% অর্থ দেয়া হয়। প্রথম অবস্থায় ৪০% দেয়া হয় এবং বিক্রি বাড়ার সাথে সাথে সর্বোচ্চ ৭০% দেয়া হয়, যা অন্যান্য টেম্পলেট বিক্রির সাইট থেকে অনেক বেশি।
  • তৃতীয়ত, এই সাইটে একটি টেম্পলেট অসংখ্য বার বিক্রি হয়। উদাহরণসরূপ, সাইটটিতে একটি টেম্পলেট রয়েছে যা গত ছয় মাসে মোট ১১৩০ বার বিক্রি হয়েছে এবং তা প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে। টেম্পলেটটির মূল্য হচ্ছে ১৫ ডলার, যার অন্তত ৫০% যদি ডিজাইনারটি পেয়ে থাকে, তাহলে এই একটি টেম্পলেট বিক্রি করে সে ৮৪৭৫ ডলারেরও বেশি আয় করেছে। তবে ৫০০ বারের উপর বিক্রি হয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি টেম্পলেট। কিন্তু মানসম্মত যে কোন টেম্পলেটের বিক্রি কয়েক মাসের মধ্যে সহজেই ১০০ ছাড়িয়ে যায়। অন্যদিকে “টেম্পলেট মনস্টার্স” এ ১১ বারের বেশি কোন টেম্পলেট বিক্রি হয় নি। এ থেকে থিমফরেস্ট সাইট থেকে আয়ের সম্ভাবনা কতটুকু তা সহজেই নির্ধারণ করা যায়।
  • সবশেষে, অন্যান্য আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে থিমফরেস্টের পার্থক্য হচ্ছে এখানে কাজ করার জন্য কোন বিড (Bid) করতে হয় না। অর্থাৎ ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ পাবার জন্য আপনাকে বসে থাকতে হবে না। ভাল ডিজাইট তৈরি করতে পারলে ক্রেতারাই আপনার টেম্পলেটটিকে খোঁজে বের করবে।

টেম্পলেট তৈরি করার পদ্ধতি

থিমফরেস্টে ৬ ধরনের বিভাগ রয়েছে – সাইট টেম্পলেট, ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, PSD টেম্পলেট, ইমেইল টেম্পলেট এবং অন্যান্য । ডিজাইন তৈরি করার পূর্বে যে সকল বিষয়ের উপর পরিপূর্ণ দক্ষ হতে হবে সেগুলো হল – Photoshop, XHTML, CSS এবং Javascript। এই চারটি বিষয়ে দ্ক্ষ না হয়ে থিমফরেস্টের জন্য কোন ডিজাইন বিক্রি করা সম্ভব নয়। তাই এগুলো যদি পরিপূর্ণভাবে না জানেন তাহলে থিমফরেস্ট সাইটে অযথা সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। তবে যারা শুধু Photoshop এ দক্ষ তারা PSD টেম্পলেট বিভাগের জন্য ডিজাইন তৈরি করতে পারেন। আমার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী “সাইট টেম্পলেট” বিভাগের জন্য টেম্পলেট তৈরি করাটা সবচেয়ে লাভজনক। কারণ PSD বিভাগের টেম্পলেটগুলো তুলানমূলকভাবে কম বিক্রি হয়। এই প্রতিবেদনে শুধুমাত্র “সাইট টেম্পলেট” বিভাগকে আলোকপাত করব।

একটি সম্পূর্ণ টেম্পলেট তৈরি করতে তিনটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে –

১) ফটোশপে ডিজাইন তৈরি করা:

ফটোশপে দক্ষ হলে এই ধাপটি তুলনামূলকভাবে সহজ। প্রথমে আপনার ডিজাইনের জন্য একটি নতুন আইডিয়া বের করতে হবে এবং তা যুগোপোযুগী হতে হবে। থিমফরেস্ট বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে কারণ দেখিয়ে একটি ডিজাইন প্রত্যাখ্যান করে সেটি এরকম, “This File Did Not Meet Our Criteria”। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হল ডিজাইন তৈরির পূর্বে অন্যদের তৈরিকৃত ডিজাইন বেশি বেশি পর্যবেক্ষণ করতে থাকুন। সম্ভব হলে কয়েকটি জনপ্রিয় ডিজাইনকে দেখে দেখে হুবহু তৈরি করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার ডিজাইন সম্পর্কে ভাল ধারণা তৈরি হবে। “সাইট টেম্পলেট” বিভাগের মধ্যে আরো অনেকগুলো উপবিভাগ রয়েছে – Creative, Corporate, Retail, Technology, Nonprofit, Entertainment, Personal, Speciality Pages, Admin Skins। এগুলোর মধ্যে Corporate বিভাগের ডিজাইনগুলো তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে থাকে। তাই প্রথমে এই বিভাগের জন্য ডিজাইন তৈরি করে দেখতে পারেন। ডিজাইন তৈরি করার সময় নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে –

  • ফটোশপে টেম্পলেট তৈরি করার সময় লেয়ারগুলোকে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে রাখুন। লেয়ার এবং গ্রুপের অর্থপূর্ণ নামকরণ করুন।
  • একই ডিজাইনকে ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি রং এ তৈরি করুন। ফলে বেশি সংখ্যক ক্লায়েন্টকে আপনি আকৃষ্ট করতে পারবেন। আলাদা রং এর ডিজাইনকে আলাদা গ্রুপে ভাগ করে রাখতে পারেন অথবা আলাদা PSD ফাইল তৈরি করতে পারেন।
  • টেম্পলেটে যে সকল ছবি, আইকন ও ফন্ট ব্যবহার করবেন সেগুলো অন্য কোন উৎস থেকে সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সেগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অনুমতি দেয়া আছে কিনা তা খেয়াল রাখবেন।
  • টেম্পলেটের সাথে ছবি ব্যবহার করার জন্য থিমফরেস্টের Asset Library নামক নিজস্ব সংগ্রহ রয়েছে যা টেম্পলেটের সাথে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • বাণিজ্যিকভাবে বিনামূল্যে ছবি সংগ্রহ করা যায় এরকম দুটি সাইট হচ্ছে – www.morguefile.com এবং www.sxc.hu
  • বিনামূল্যে ফন্ট সংগ্রহের জন্য www.dafont.com একটি দারুন সাইট।
  • বিভিন্ন ফন্টের মাত্রাধিক্য ব্যবহার যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন এবং ফন্টের আকারের ভারসাম্য রক্ষা করুন। উদাহরণসরূপ, কোন একটি প্যারাগ্রাফের শিরোনামে বড় ফন্ট ব্যবহৃত হবে, কিন্তু সাইডবারের শিরোনামে তুলনামূলকভাবে ছোট ফন্ট ব্যবহৃত হবে।

২) XHTML/CSS এ রূপান্তর করা:

এই ধাপটি নতুনদের জন্য তুলনামূলকভাবে একটু কঠিন হবে। এই ধাপে ফটোশপে তৈরিকৃত PSD ফাইলকে HTML এ রূপান্তুর করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। পদ্ধতিটিকে আয়ত্বে আনতে অনেক অনুশীলনের প্রয়োজন রয়েছে। এ নিয়ে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অসংখ্য টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। HTML এ রূপান্তর করার সময় যে সকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হল –

  • HTML এর উন্নত সংস্করণ হচ্ছে XHTML। ডিজাইনটিতে সঠিকভাবে XHTML প্রয়োগ করা হয়েছে কিনা খেয়াল রাখবেন। এজন্য কাজ শেষে http://validator.w3.org সাইটে আপনার তৈরিকৃত HTML ফাইলকে আপলোড করে কোন ভুল আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন।
  • আগেকার টেম্পলেটে HTML এর Table ট্যাগ ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে DIV ট্যাগের সাথে CSS এর যথাযথ সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ডিজাইন তৈরি করা হয়। এই পদ্ধতির মূল সুবিধা হচ্ছে শুধুমাত্র CSS ফাইলকে পরিবর্তন করে একটি ওয়েবসাইটের চেহারা বদলে ফেলা যায়। আপনিও এরকম টেবিলবিহীণ ওয়েবসাইট তৈরি করুন।
  • পাশাপাশি অবস্থিত এলিমেন্টকে আলাদা DIV এ না রেখে List ট্যাগ (ul, li) ব্যবহার করে তৈরি করুন। এরকম এলিমেন্টের উদাহরণ হল নেভিগেশন মেনু।
  • প্যারাগ্রাফের লেখার লাইনগুলোর মধ্যে সমান উচ্চতা আছে কিনা তা খেয়াল করুন।
  • ওয়েবসাইটে Whitespace বা ফাঁকা জায়গা ঠিকভাবে আছে কিনা তা খেয়াল রাখুন। উদাহরণসরূপ একটি প্যারাগ্রাফের চতুর্দিকে সমান পরিমাণ খালি জায়গা থাকতে হবে (তা হতে পারে ১০ পিক্সেল বা ২০ পিক্সেল)।
  • CSS এর ফাইলকে সম্পূর্ণ নিজে তৈরি না করে একটি ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে তৈরি করা ভাল। জনপ্রিয় দুটি ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে 960 গ্রিড সিস্টেম (www.960.gs) এবং ব্লুপ্রিন্ট (www.blueprintcss.org)। এর যে কোন একটি ব্যবহার করলে কাজ অনেক সহজ ও গোছানো হবে।
  • জাভাস্ক্রিপ্টের বিভিন্ন এনিমেশন, স্লাইডার, ইমেইজ ভিউয়ার ব্যাবহার করে ওয়েবসাইটকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। এ জন্য jQuery নামক ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারেন। www.jQuery.com সাইট থেকে এটির অসংখ্য Plugins বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবেন।
  • কাজ শেষ করার পর ওয়েবসাইটটিকে সবগুলো ব্রাউজারে পরীক্ষা করে দেখুন। বিশেষ করে ফায়ারফক্স ২, ৩, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬, ৭, ৮ এবং সাফারিতে পরীক্ষা করে দেখুন। চেষ্টা করুন যাতে সবগুলো ব্রাউজারে ডিজাইনটি একই রকম দেখায়। যত বেশি ব্রাউজারের জন্য ডিজাইনটি তৈরি করবেন বিক্রির পরিমাণ তত বেশি হবে।

৩) টেম্পলেট আপলোড করা:

সম্পূর্ণ কাজ শেষে সাইটে লগইন করে My Account পৃষ্ঠায় Upload এর অপশনটি পাবেন। আপলোড করার আগে সাইটে দেয়া নির্দেশাবলী ভাল করে পড়ে নিন। সাইটে চার ধরনের ফাইল আপলোড করতে হবে –

  • Final Download File: আপনার টেম্পলেটটি কেনার পর এই Zip ফাইলটিকেই একজন ক্রেতা ডাউনলোড করবে। তাই এর সাথে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ফাইল – মূল PSD, HTML দিয়ে তৈরিকৃত ওয়েবসাইট, সাহায্যকারী ডকুমেন্টেশন ফাইল, অতিরিক্ত ছবি ইত্যাদি যুক্ত করুন। ডকুমেন্টেশন ফাইলটি এমনভাবে তৈরি করুন যাতে এটি পড়ে একজন ক্রেতা টেম্পলেটটিকে কিভাবে পরিবর্তন করতে হবে, কিভাবে ইন্সটল করতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে ভাল ধারণা পায়।
  • Screenshots Zip: টেম্পলেটটির সবগুলো পৃষ্ঠার স্ক্রীণশট এই Zip ফাইলের সাথে যুক্ত করুন। স্ক্রীণশটগুলো JPEG ফরমেটে হতে হবে এবং এটি ১২০০ পিক্সেলের বেশি চওড়া হতে পারবে না। ছবিগুলোর ফাইলের নাম সংখ্যা দিয়ে শুরু হতে হবে, যেমন – 01_homepage.jpg, 02_aboutus.jpg ইত্যাদি।
  • Live Preview Template: HTML এ তৈরিকৃত টেম্পলেটটি এই Zip ফাইলে দিতে হবে যা লাইভ প্রিভিউ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
  • JPEG Thumbnail: এই অংশে ৮০ x ৮০ পিক্সেল মাপের একটি JPEG ছবি দিতে হবে। ছবিটিতে আপনি টেম্পলেটের একটি ছোট আকারের ছবি অথবা অন্য কোন গ্রাফিক্স দিতে পারেন।

এই ফাইলগুলো আপলোডের পাশাপাশি আরও যে সকল তথ্য প্রদান করতে হবে সেগুলো হল –

  • Name: টেম্পলেটের জন্য একটি নাম নির্ধারণ করুন।
  • Description: টেম্পলেটের বর্ণনা, যাতে টেম্পলেটটি কেনার পূর্বে ক্রেতা একটি ভাল ধারণা পাওয়া যাবে।
  • Category: টেম্পলেটির বিভাগ, ডিজাইনের স্টাইল, টেম্পলেটের সাথে কোন কোন ধরনের ফাইল যুক্ত করা হয়েছে, কোন কোন ব্রাউজারে এটি সমর্থন করবে ইত্যাদি তথ্য এই অংশে প্রদান করতে হবে।
  • Message for Reviewer: এই অংশটি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি টেম্পলেটটি জমা দেবার পর সাইটের কর্তৃপক্ষ বা একজন Reviewer আপনার কাজটিকে যাচাই বাছাই করবে। এই অংশের মাধ্যমে আপনি তাকে আপনার কোন মন্তব্য জানাতে পারবেন। পাশাপাশি সাইটে কোন ছবি, ফন্ট বা আইকন ব্যবহার করে থাকলে সেগুলো কোন উৎস থেকে সংগ্রহ করেছেন তা এখানে জানাতে হবে। এমনকি নিজের তোলা কোন ছবি ব্যবহার করলেও তাকে জানাতে হবে।

সর্বশেষে Upload বাটনে ক্লিক করে কাজটি জমা দিন। এটি গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তা এক থেকে দুই দিনের মধ্যে ইমেইল করে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে। গ্রহণ করা হলে সেই Reviewer আপনার ডিজাইনটির একটি মূল্য নির্ধারণ করে দিবে। আর গ্রহণ না করলে তার কারণগুলো এবং কোন কোন ভুল সংশোধন করতে হবে তা জানিয়ে দিবে।

থিমফরেস্টে প্রথমবার একটি টেম্পলেটকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে অনেক অনুশীলন এবং ধৈর্যের প্রয়োজন রয়েছে। সম্ভব হলে থিমফরেস্ট থেকে জনপ্রিয় একটি টেম্পলেট কিনে তা ভাল করে পর্যবেক্ষণ করুন। এভাবে আপনি ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন একটি উঁচুমানের টেম্পলেট কিভাবে তৈরি করতে হয়, কিভাবে ডকুমেন্টেশন সাজাতে হয়, টেম্পলেটটি মূল ফাইলের সাথে কি কি দিতে হয় ইত্যাদি আরো অনেক কিছু। যাদের মানিবুকার্সের একাউন্টে টাকা রয়েছে তারা অনায়াসে থিমফরেস্ট সাইট থেকে একটি ডিজাইন কিনতে পারবেন। শুধুমাত্র ডিজাইন কেনার জন্যও থিমফরেস্ট আদর্শ একটি সাইট।

আপনি যদি সব নিয়মকানুন মেনে একটি টেম্পলেট সফলভাবে জমা দিতে পারেন, এরপর দেখবেন পরবর্তী টেম্পলেটগুলো এরচেয়ে সহজে এবং কম সময়ে তৈরি করতে পারবেন। আপনার ডিজাইনটি যদি কর্তৃপক্ষ গ্রহণ না করে তাহলে কখনও হতাশ হবেন না। তাদের মন্তব্যগুলো ভালভাবে বুঝতে চেষ্টা করুন এবং সেই অনুযায়ী ডিজাইনটিকে উন্নত করতে থাকুন। আপনার কাজের মধ্যে যদি দক্ষতা থাকে তাহলে এক সময় এটি অবশ্যই গ্রহণযোগ্য পাবে।

লেখক – মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী

বিঃদ্রঃ – এই লেখাটি “মাসিক কম্পিউটার জগৎ” ম্যাগাজিনের “জানুয়ারী ২০০৯ ইং” সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।

12 thoughts on “থিমফরেস্ট সাইটের জন্য টেম্পলেট তৈরি

  1. জাকারিয়া ভাই, আপনার থিমের প্রিভিউ দেখতে গিয়ে একটা মারাত্নক সমস্যা পেলাম।আমি ১৪ ইঞ্চি মনিটরে ৮০০*৬০০ রেজুলেশন ব্যাবহার করি।আপনার থিমের নিচে কোন স্ক্রলিং অপশন না থাকায় আমি ডান পাশের প্রায় দেড় ইঞ্চি জায়গা কিছুই দেখতে পেলাম না।আমি জানি সব ওয়েব সাইট ই ১০২৮*৭৬৮ এই রেজুলেশনের জন্য করা হয় কিন্তু নিচে স্ক্রলিং অপশন রাখা অতি আবশ্যক ছিল-অন্তত আমার বিবেচনায়।তবে সব বিবেচনায় বেশ ভালই হয়েছে…

  2. ধন্যবাদ । আপনার লেখা যতই পড়ছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি । অনেক কিছুই জনতে পারলাম ।

  3. Dear ZChowdhury,
    আপনার ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক http://freelancerstory.blogspot.com সাইটটা বেশ ভাল লেগেছে। বিশেষ করে টেম্পলেট/থিম টা। আমার মনে হয় কলামটা আরেকটু চওড়া করলে আরো ভাল হত।
    কারন বাম এবং ডান পাশে বেশ খালি জায়গা আছে।
    এই টেম্পলেটটা কি আপনার তৈরী? আমি অনেক দিন থেকে ভাবছিলাম blogspot.com এ একটা কর্পোরেট সাইট বানাব। আমাকে কি একটু হেল্প করবেন?
    আপনার ব্লগ এ হেডিং এর নিচে “প্রথম পাতা” “ফ্রিল্যান্সিং কি” “অনলাইন ফোরাম” ইত্যাদি ট্যাব দেয়া আছে তা কিভাবে করব? অর্থাৎ ক্লিক এ আলাদা আলাদা পেজ এ ওপেন হয়। আমার মনে হয় আমি কি বুঝাতে চাইছি তা আপনি বুঝতে পারছেন।
    যেমন আমি করতে চাই Home, Factory Profile, Product Detail (হেডিং এর নিচে) ইত্যাদি। অর্থাৎ blogspot.com এ ওয়েবসাইট করতে চাই।
    আপনার ঊত্তর পেলে ঊপকৃত হব অথবা আমাকে মেইল করতে পারেন shuvozeus@gmail.com এ।
    ধন্যবাদ

  4. না এই সাইটের টেম্পলেট আমি তৈরি করি নি। http://www.magznetwork.com সাইট থেকে এই ফ্রি টেম্পলেটটি ব্যবহার করেছি। টেম্পলেটে ট্যাব যুক্ত করার জন্য একটি ব্যবস্থা টেম্পলেটের সাথেই ছিল। আমাকে বিশেষ কিছু করতে হয় নি।

  5. জাকারিয়া ভাই, আপনাকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ, কিন্তু তার পরিমান কত বেশি তা বলতে পারব না। আমি আপনার লেখার একজন ভক্ত। ভাইয়া আমি Web Site design এবং Development করে থাকি। Themeforest এ বেশ কিছুদিন কাজ করেছি (সিরিয়াসলি না) কিন্তু একটি থিমও গ্রহন করেনি, সম্ভবত ওদের নিয়ম মাফিক থিম টা সাজিয়ে পাঠাতে পারিনি। তাই অনুগ্রহ পূর্বক আপনার সাবমিট করা থিমটির লিংক দিন যাতে আমরা ফরমেটটি হাতে কলমে বুধতে পারি। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

    আপনার ভক্ত
    হাশমী বিন মোস্তফা

  6. হাশমী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার থিমের মূল ফাইলটি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আপনার জন্য আমার পরামর্শ হল হতাশ না হয়ে আপনার থিমকে আরো ঠিকঠাক করার চেষ্টা করুন। তারপর আবার সাবমিট করুন। যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা ফাইলটিকে গ্রহণ করছে ততক্ষণ পর্যন্ত এটাকে উন্নত করতে থাকুন এবং তাদের মন্তব্যগুলো ভাল করে লক্ষ্য করুন।

  7. জাকারিয়া ভাই আপনার থিমটির হেল্প ফাইলটি কি দেয়া সম্ভব? আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না কি ভাবে একটি থিমের হেল্প ফাইলটি সাজাব। আর ভালো কথা, Photoshop এর একটি Plug-in আছে যার নাম SiteGrinder, এটি দ্বারা PSD format থেকে HTML+CSS করা যায়। আপনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন কি? এই প্লাগিন টি আমি ডাউনলোড করেছি কিন্তু এর হেল্প ফাইলে/টিউটোরিয়ালে PSD থেকে HTML+CSS করার যে বর্ননা আছে তার সাথে এর মিল নেই। কিন্তু এই প্লাগিন টি ব্যাবহার করে যে সকল সাইট বানানো হয়েছে তা খুবই মনস্মত।
    0Desk.com এ কিছুদিন আগে রেজিষ্ট্রেশন করেছি এবং পরিক্ষাদিয়েছি মোট ৪ টি বিষয়ের উপর oDesk readiness সহ এবং সবগুলোতেই উর্ত্তির্ন হয়েছি এবং ২ টো কাজের জন্যা বিড করেছি। http://www.odesk.com/users/Web-Graphich-Designer_~~2486f42577ea1284 এটি আমার প্রোফাইল লিংক, দয়া করে দেখুন আমি যে পরিক্ষাগুলো দিয়েছি এবং এর স্কোর গুলো কি ঐ সংস্লিষ্ট কাজগুলো পেতি সহায়ক? Hourly jobs/Fixed-price jobs এই দুয়ের মধ্যে কোনটিতে বিড করা বুদ্ধিমানের কাজ?
    ভাইয়া আপনার মোবাইল নম্বর টি কি দেয়া সম্ভব, যদি সম্ভব হয় তো দয়াকরে hasmeebinmostafa.bd@gmail.com এই এড্রেসে মেইল করুন। আশাকরি আপনার ভক্তকে বিমুখ করবেন না।

  8. জাকারিয়া ভাই আমার মন্তব্যের কোন উত্তর পেলাম না। ভইয়া আমি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য Adobe Dreamweaver ব্যাবহার করি। এর চেয়ে ভালোমানের প্রফেশনাল ও ইউজার ফ্রেন্ডলি কোনা ওয়েবডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার আছে কি? দয়াকারে আমার মন্তব্যর উত্তর দিন।

  9. @Hasmee, দুঃখিত, আমার থিমের হেল্প ফাইল দেয়া সম্ভব নয়। এটি তৈরি করা খুব একটা বড় বিষয় নয়। MS Word দিয়ে একটি ডকুমেন্ট তৈরি করে নিন যাতে আপনার টেম্পলেটে যেসকল CSS, Javascript, Image ব্যবহার করেছেন তার ব্যবহার পদ্ধতি উল্লেখ করতে পারেন। যাতে একজন ক্রেতা সহজেই ডিজাইনের পরিবর্তন করতে পারে। সবশেষে ডিজাইনে সংযুক্ত Javascript, Image গুলো আপনি কোন সাইট থেকে সংগ্রহ করেছেন তার লিংক দিতে পারেন।

    না, আমি ফটোশপের SiteGrinder প্লাগইনস সম্পর্কে জানি না।

    oDesk এ যত বেশি পরীক্ষা দিবেন কাজ পাবার সম্ভাবনা তত বেশি। আমার মতে এখানে Hourly কাজগুলো করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

    আমি Dreamweaver বা এ ধরনের কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করি না। আমি টাইপ করে HTML/CSS দিয়ে ডিজাইনে বিশ্বাসী।

    আমি অত্যন্ত দুঃখিত, আমার মোবাইল নাম্বারটি দেয়া সম্ভব নয়।

Comments are closed.

সার্চ ফ্রিল্যান্সারস্টোরি

Payoneer Signup

জনপ্রিয় লেখাসমূহ

Find us on facebook

Scroll to top