গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার পরিচিতি

গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ী এবং ফ্রিল্যান্সার বা স্বাধীনভাবে যারা কাজ করে তাদের জন্য অনলাইনে সাক্ষাতের স্থান। এই সাইটে একজন ক্রেতা বা বায়ার প্রজেক্ট সাবমিট করে এবং একজন ফ্রিল্যান্সার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস প্রদান করে। এই সাইটে একজন ফ্রিল্যান্সারকে বলা হয় ‘প্রোভাইডার’। সাইটের কমিশন কম হওয়ায় এবং গোল্ড মেম্বার, ট্রায়াল প্রজেক্ট ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা থাকায় প্রতিদিন সারা পৃথিবীর অসংখ্য ফ্রিল্যান্সার এই সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করছে। বর্তমানে এই সাইটে মোট ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা হচ্ছে ৭ লক্ষের উপরে। সাইটে প্রজেক্টের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়, প্রতিদিন বিভিন্ন বিভাগে অসংখ্য নতুন নতুন কাজ আছে। প্রতিদিন গড়ে ৩,০০০ কাজ এই সাইটে পাওয়া যাবে। প্রজেক্টের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, কপিরাইটিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, মার্কেট রিসার্চ, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ওয়েব প্রোমোশন ইত্যাদি। অর্থাৎ প্রায় সকল ধরনের কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য এই সাইটে কাজ পাওয়া যায়।

টাকা উত্তোলনের উপায়সমূহ
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইট থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা উত্তোলন করা যায়। তার মধ্যে রয়েছে – Payoneer Debit Card, Moneybookers, Wire Transfer ইত্যাদি। টাকা উত্তোলনের সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে পেওনার ডেবিট কার্ডটি। সাইটে আপনার একাউন্টে ৩০ ডলার থাকলে আপনি এই কার্ডের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। এরপর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এই মাস্টারকার্ডটি আপনার ঠিকানায় পৌছে যাবে। এটি দিয়ে বিভিন্ন ব্যংকের ATM থেকে সরাসরি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।


গোল্ড মেম্বারদের জন্য সুবিধাসমূহ
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে ইউজারদের জন্য গোল্ড মেম্বার নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থা চালু আছে। গোল্ড মেম্বার হতে আপনাকে প্রতি মাসে ১২ ডলার পরিশোধ করতে হবে। এর সুবিধাগুলো হচ্ছে –

  • প্রতি প্রজেক্ট শেষে সাইটকে কোন কমিশন প্রদান করতে হয় না। অন্যদিকে সাধারণ ব্যবহারকারীকে প্রতি প্রজেক্টের মোট মূল্যের ১০% কমিশন হিসেবে দিতে হয়।
  • সাধারণ ব্যবহারকারী হলে আপনি মাসে ১৫ টির বেশি বিড করতে পারবেন না। অন্যদিকে গোল্ড মেম্বার হলে মাসে সর্বোচ্চ ১৬০ টি প্রজেক্টে বিড করতে পারবেন।
  • সাইটে অনেক প্রজেক্ট আছে যাতে শুধুমাত্র গোল্ড মেম্বারাই বিড করতে পারে।
  • গোল্ড মেম্বারদের নামের পাশে সবসময় একটি G চিহ্ন থাকে, যা তাদের গোল্ড মেম্বারশীপ প্রকাশ করে।
  • গোল্ড স্টেটাস থাকার কারনে গোল্ড মেম্বারদের অন্যদের চেয়ে প্রজেক্ট পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


নতুনদের জন্য ট্রায়াল প্রজেক্ট
গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে ‘ট্রায়াল প্রজেক্ট’ নামে অনেক প্রজেক্ট পাওয়া যায় যাতে শুধুমাত্র একজন নতুন প্রোভাইডার বিড করতে পারে। ফলে এসব প্রজেক্টের মাধ্যমে নতুন ইউজাররা খুব সহজেই তাদের প্রথম কাজ সম্পন্ন করতে পারে। তবে একটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করে বায়ারের রেটিং বা ফিডব্যাক পাবার পর আপনি আর কোন ট্রায়াল প্রজেক্টে বিড করতে পারবেন না। যেসব প্রজেক্টের নামের পাশে মানুষের ছবিযুক্ত আইকন থাকে, সেগুলো হচ্ছে ট্রায়াল প্রজেক্ট। 

 
প্রোভাইডারদের জন্য কয়েকটি গাইডলাইন
  • একটি প্রজেক্ট সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা না নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত নয়। বায়ার তাদের চাহিদা বিড রিকোয়েস্টের সাথে সম্পূর্ণভাবে উল্লেখ নাও করতে পারে। তাই যতটুকু সম্ভব তাদেরকে প্রশ্ন করুন। তারপর প্রজেক্টের রিকোয়ারমেন্ট আপনার নিজের ভাষায় বায়ারকে লিখে জানান। এতে বায়ারের চাহিদা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন এবং কাজ করার সময় আপনার পরিশ্রম অনেকখানি কমে যাবে। প্রশ্ন করলে বায়ার খুশি হয় এবং আপনার আগ্রহ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে।
  • একটি কাজ পাবার পর বায়ার সাধারণত Escrow নামক ফিচারের মাধ্যমে সাইটে প্রজেক্টের সম্পূর্ণ টাকা জমা রাখে। ফলে কাজ শেষে আপনার পাওনা টাকা সাথে সাথে পাবার সম্ভাবনা নিশ্চিত হয়। কোন কারনে টাকা জমা না রাখলে তাকে সাইটের Escrow তে টাকা জমা রাখতে অনুরোধ করুন। 
  • সম্পূর্ণ কাজকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করুন এবং প্রতিটি ধাপ শেষ হবার পর পর বায়ারকে দেখান।
  • ডেডলাইন সময় শেষ হবার পূর্বেই সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করুন এবং বায়ারের কাছে পাঠিয়ে দিন।
  • বায়ারের কাছে কাজ পাঠানোর পূর্বে ভাল করে রিকোয়ারমেন্ট আরেকবার দেখে নিন এবং সম্পূর্ণ কাজ ভাল করে পরীক্ষা করুন।

One thought on “গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার পরিচিতি

Comments are closed.

সার্চ ফ্রিল্যান্সারস্টোরি

Payoneer Signup

জনপ্রিয় লেখাসমূহ

Find us on facebook

Scroll to top